জুম্মা মোবারক ফটো পিকচার ক্যাপশন স্ট্যাটাস। একজন মুসলিম ব্যক্তির কাছে জুম্মার দিন হলো খুবই পবিত্র একটি দিন। এই দিনের ফজিলত ও গুরুত্ব অপরিসীম। তাই বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে কিছু জুম্মা মোবারক এর ছবি শেয়ার করবো।
জুমার দিনে দোয়া কবুল হওয়ার
সে মহামূল্যবান সময় কোনটা?
এ সম্পর্কে ৪৫টা মতামত পাওয়া যায়।
তবে সর্বাধিক প্রসিদ্ধ মত হলো,
আসরের নামাজের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত
সময় দোয়া কবুলের সময়।
হজরত আনাস (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
জুমার দিনের কাঙ্ক্ষিত সময়টা হলো আসরের পর
থেকে সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত।
(মুসনাদে ইবনে আবি শাইবা : ৫৪৬০ , তিরমিজি : ৪৮৯)
জুমাবারের ফজিলতের সবচেয়ে
উল্লেখযোগ্য দিকটি হলো,
এই দিনে এমন একটা সময় আছে,
যখন মুমিন বান্দা কোনো দোয়া করলে
মহান আল্লাহ তাঁর দোয়া কবুল করেন।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
জুমার দিনে একটা এমন সময় আছে,
যে সময়ে কোনো মুমিন বান্দা আল্লাহর কাছে ভালো
কোনো কিছু প্রার্থনা করলে,
অবশ্যই আল্লাহ তাঁকে তা দান করবেন।
(সহীহ মুসলিম : ৮৫২, মুসনাদে আহমাদ : ৭১৫১, আস্-সুনানুল কুবরা : ১০২৩৪)
হজরত সালমান (রা.) হতে
একটি হাদিস বর্ণিত।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
যে ব্যক্তি জুমার দিনে সুন্দর করে গোসল করবে,
অতঃপর তেল ব্যবহার করবে এবং সুগন্ধি নেবে,
তার পর মসজিদে গমন করবে,
দুই মুসল্লির মাঝে জোর করে জায়গা নেবে না,
সে নামাজ আদায় করবে এবং ইমাম যখন খুতবা দেবেন,
চুপ করে মনোযোগ সহকারে তাঁর খুতবা শুনবে।
দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়ে তার সব
গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।
(মুসনাদে আবু দাউদ : ৪৭৯)
যে সবার আগে মসজিদে প্রবেশ করে,
সে একটি উট আল্লাহর রাস্তায় দান করার সওয়াব লাভ করে।
যে দুই নম্বরে প্রবেশ করে,
সে একটি গরু আল্লাহর রাস্তায় দান করার সওয়াব পায়।
যে তিন নম্বরে প্রবেশ করে,
সে একটি দুম্বা দান করার সওয়াব পায়।
যে চার নম্বরে প্রবেশ করে,
সে একটি মুরগি দান করার সওয়াব লাভ করে।
আর যে পাঁচ নম্বরে প্রবেশ করে,
সে একটি ডিম আল্লাহর রাস্তায় দান করার সওয়াব পায়।
(মুসনাদে শাফী : ৬২, জামে লি ইবনে ওহাব : ২২৯, মুসনাদে হুমাইদি : ৯৬৩ )
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)
থেকে এ মর্মে হাদিস বর্ণিত হয়েছে
যে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
যে ব্যক্তি কোনো শরিয়তসম্মত কারণ ছাড়া
জুমার নামাজ বর্জন করবে,
তার নাম মুনাফিক হিসেবে এমন দপ্তরে লিপিবদ্ধ হবে,
যা মুছে ফেলা হবে না এবং পরিবর্তন ও করা যাবে না।
(তাফসিরে মাজহারি ,খণ্ড : ৯ , পৃষ্ঠা : ২৮৩)
জুমার নামাজ ফরজ হয় প্রথম হিজরিতে।
রাসূলুল্লাহ (সা.) হিজরতকালে কুবাতে অবস্থান শেষে
শুক্রবার দিনে মদিনা পৌঁছেন
এবং বনি সালেম গোত্রের উপত্যকায় পৌঁছে
জোহরের ওয়াক্ত হলে
সেখানেই তিনি জুমার নামাজ আদায় করেন।
এটাই ইতিহাসের প্রথম জুমার নামাজ।
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে,
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“যে ব্যক্তি জুমুয়ার দিন সূরা কাহফ পড়বে
তার দুই জুমুয়ার মধ্যবর্তী সমগ্র সময় জুড়ে
তার ওপর আল্লাহর জ্যোতি বর্ষিত হতে থাকবে”।
[নাসায়ী, বাইহাকী]
বন্ধুরা সবার কাছে অনুরোধ থাকবে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চেষ্টা করুন এবং সৎ পথে সবসময় চলুন।
1 thought on “জুম্মা মোবারক ফটো পিকচার ক্যাপশন স্ট্যাটাস”