যুদ্ধ নিয়ে উক্তি বানী এবং স্ট্যাটাস। বিখ্যাত ব্যক্তিদের যুদ্ধ সম্পর্কীত কিছু উক্তি আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। বন্ধুরা এই পৃথিবীতে অনেক যুদ্ধবাজ নেতা এবং রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন এবং আছেন, তাদের সম্পর্কে এবং সেই সকল যুদ্ধবাজ নেতাদের কিছু উক্তি সমূহ নিয়েই আজকের এই লেখা। যুদ্ধ আসলে কখনোই শান্তি বয়ে নিয়ে আসে না যুদ্ধে সবসময়ই নিরপরাধ মানুষ আক্রান্ত হন বিশেষ করে নারী ও শিশুরা যুদ্ধের নিশংসতার শিকার হয়।
“ রণ ক্ষেত্রে সহস্রযোদ্ধার ওপর বিজয়ীর চেয়ে রাগ–ক্রোধ বিজয়ী বা আত্মজয়ী বীরই বীরশ্রেষ্ঠ”
—- গৌতমবুদ্ধ
শান্তিতে বসবাস করার জন্যেই আমরা যুদ্ধে লিপ্ত হই।
—- এরিস্টটল
“বিপ্লব গোলাপের শয্যা নয়, বিপ্লব হচ্ছে মৃত্যু পর্যন্ত অতীত ও ভবিষ্যতের মধ্যকার সংগ্রাম।”
—- ফিদেল কাস্ত্রো
“আমি বুঝতে পেরেছি যে, আমার আসল নিয়তি হচ্ছে যুদ্ধ করা, যেটা আমি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছি।”
—- ফিদেল কাস্ত্রো
“ একজন খ্রিস্টান হিসেবে প্রতারিত হওয়া আমার কর্তব্য নয়, কর্তব্য হলো সত্য এবং ন্যায়ের জন্য যুদ্ধ করা।”
—- আডলফ হিটলার
যারা বাঁচতে চায়, তারা লড়াই করে বাঁচুক। আর যারা লড়তে চায়না, তাদের বাঁচার কোন অধিকার নেই।
—- হিটলার
সন্ত্রাস, নাশকতা, হত্যা এবং বিস্ময়ের মধ্য দিয়ে শত্রুর মনোবল ভেঙে দাও, এটাই যুদ্ধের ভবিষ্যৎ।
—- হিটলার
সেই সাহসী যে পালিয়ে না গিয়ে তার দায়িত্বে থাকে এবং শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
—- সক্রেটিস
নিজেকে উন্নয়নের জন্য অন্য মানুষের লেখালেখিতে কাজে লাগাও এইজন্য যে অন্য মানুষ কিসের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে তা তুমি সহজেই যাতে বুঝতে পার।
—- সক্রেটিস
কঠিন যুদ্ধেও সবার প্রতি দয়ালু হও।
—- সক্রেটিস
“বিপ্লব তো আর গাছে ধরা আপেল নয় যে পাকবে আর পড়বে, বিপ্লব অর্জন করতে হয়।”
—- চেগুয়েভারা
শান্তি চাইলে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নাও।
—-ভিগেটিয়াস
একটি মিথ্যা বার বার বলা হলে তা সত্যে পরিণত হয়।
—- ভ্লাদিমির লেনিন
বই ছাড়া একটি কক্ষ আত্মা ছাড়া দেহের মত।
—- মার্কাস টুলিয়াস সিসারো
“ আমি আপনাকে কখনও ভালবাসতে না বলে যুদ্ধ করতে বলি।কারণ যুদ্ধে হয় আপনি বাঁচবেন না হয় মরবেন। কিন্তু ভালবাসাতে না পারবেন বাঁচতে না মরতে॥”
—- এডলফ হিটলার।
আমি তিনটি খবরের কাগজকে একলক্ষ বেয়নেট অপেক্ষা বেশী ভয়করি।
—- নেপোলিয়ান।
দেশ প্রেমিকের রক্তই স্বাধীনতা বৃক্ষের বীজ স্বরূপ।
—- টমাস ক্যাম্পবেল।
বুলেট ব্যতীত বিপ্লব হয়না।
—- চেগুয়েভারা।
শত্রু মরে গেলে আনন্দিত হবার কারন নেই। শত্রু সৃষ্টির কারন গুলো এখনও মরেনি।
—- ওলপিয়ার্ট
জীবন যতক্ষণ আছে বিপদ তত ক্ষণ থাকবেই।
—- ইমারসন
রণক্ষেত্রে সহস্র যোদ্ধার ওপর বিজয়ীর চেয়ে রাগ–ক্রোধ বিজয়ী বা আত্মজয়ী বীরই বীরশ্রেষ্ঠ।
আমি ভেড়ার নেতৃত্বে সিংহ বাহিনীকে ভয় পাইনা, কিন্তু সিংহের অধীনে ভেড়ার পালকে ভয় পাই।
—- আলেকজান্ডার
“ যুদ্ধ এবং প্রেমে কোনো কিছু পরিকল্পনা মতো হয়না।”
—- হুমায়ূন আহমেদ
“ তার দশটি আঙুল–
যে–আঙুলে ছুঁয়েছে সে মার মুখ, ভায়ের শরীর,
প্রেয়সীর চিবুকের তিল।
যে–আঙুলে ছুঁয়েছে সে সাম্য মন্ত্রেদীক্ষিত সাথীর হাত,
স্বপ্নবান হাতিয়ার,
বাটখারা দিয়ে সে–আঙুল পেষা হলো।
সেই জীবন্ত আঙুল, মানুষের জীবন্ত উপমা।
লোহার সাঁড়াশি দিয়ে,
একটি একটি করে উপড়ে নেয়া হলো তার নির্দোষ নখ গুলো।
কী চমৎকার লাল রক্তের রঙ।”
—- রুদ্র মুহাম্মদশহীদুল্লাহ
“ সে এখন মৃত।
তার শরীর ঘিরে থোকাথোকা কৃষ্ণ চূড়ার মতো
ছড়িয়ে রয়েছে রক্ত, তাজা লাল রক্ত।
তার থ্যাতলানো এক খানা হাত
পড়ে আছে এদেশের মানচিত্রের ওপর,
আর সেহাত থেকে ঝরে পড়ছে রক্তের দুর্বিনীত লাভা– ”
—- রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
“ সেতার দেহের বস্ত্রহীনতার কথা বলেছিলো–
বুঝি সে–কারণে
ফরফর করে টেনে ছিঁড়ে নেয়া হলো তার শার্ট।
প্যান্ট খোলা হলো। সে এখন বিবস্ত্র, বীভৎস।”
—- রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
“ বেদনার পায়ে চুমু খেয়েবলি এইতো জীবন,
এইতো মাধুরী, এইতো অধর ছুঁয়েছে সুখের সুতনুসুনীল রাত! ”
—- রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
“ আমি খুব গাঢ় ধ্বংসের ক্ষতচিহ্ন নিয়ে বুকের মাটিতে
পৃথিবীর মতো সুঠাম দাঁড়িয়ে থাকা অবিচল তনু
আমাকে এতটা অসহায়, এতো ম্রিয়মান ভাবো কেন? ”
—- রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
“ ডাকছে কৃষ্ণপক্ষের রাত– ঘুমিয়ে পড়লে নাকি?
লুট হয়ে গেল ইতিহাস, স্মৃতি, পতাকা কৃষ্ণচুড়া–
চেতনায় জ্বলে বৈরী আগুন– ঘুমিয়ে পড়লে নাকি? ”
—- রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
“ আর কী অবাক!
ইতিহাসে দেখি সব লুটেরা দস্যুর জয়গানে ঠাঁসা,
প্রশস্তি, বহিরাগত তস্করের নামে নানা রঙা পতাকা ওড়ায়।”
রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
“ রমনী এক রকম অনাবশ্যক ইচ্ছা বিবর্ণ ঝাঁঝাঁলো সম্প্রতি নারী শুধু কাচের ছায়া, অপ্রতি বিম্বকাচ, শুধু মাত্র কাচ”
—- রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
“ ইচ্ছে ছিলো বিরহের সাথে একরাত কাটাবো নিদ্রায়,
যার কাছে ঋনী হয়ে শিখেছি নির্ঘুম রাতের সুখ
তার সাথেই একরাত পাশাপাশি কাটাবো গভীর ঘুমে।”
—- রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
“ যৌবন, একাকিরাত
শিশিরের শুভ্রতা কাংখিত জীবন
তুমি কী নিতে চাও বলো? ”
—- রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
“ এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন।আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান।বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যটিকে উত্খাতকরা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক।”
—- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বন্ধরা লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর কমেন্ট করে জানাবেন যুদ্ধ নিয়ে আপনার অনুভূতি।