বাংলা রোমান্টিক প্রেম ভালোবাসার চিঠি পত্র। প্রিয় মানুষটির সাথে সবসময়ই কথা বলতে মন চায় তাই তো একেকজন একেক পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে আর তার মধ্যে সবথেকে পুরানো এবং বহুল জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে চিঠি আদান–প্রদান। আজকে তাই আপনাদের সাথে কিছূ বাংলা রোমান্টিক প্রেম ভালোবাসার চিঠির নমুনা শেয়ার করবো, আশা করি প্রিয় মানুষটিকে চিঠি লিখতে হলে কিছুটা সাহায্য করবে।
প্রিয়তম জয়,
ওগো আমার প্রাণের প্রিয়তমা ।শুরুতে তোমাকে জানাই বকুল ফুলের শূভেচ্ছা ।আশা করি তা গ্রহন করবে ।আমি প্রথম দেখাতেই তোমাকে ভালবেসে ফেলেছি ।সত্যিই তোমাকে ভালবেসে ফেলেছি আর ভালবেসে যাব জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের পূর্ব পর্যন্ত ।একথা তুমি বিশ্বাস কর বা আর না কর ।এতে আমার কোন যায় আসে না ।আমি জানি জোর করে ভালবাসা হয় না, ভালবাসা শুধু মন দিয়ে অনুভব করতে হয় ।সে ক্ষেত্রে ভাষার কোন প্রয়োজন হয় না ।তার পরেও লিখে প্রকাশ করছি তোমার কাছে আমার ভালবাসাকে ।আর প্রেমের ক্ষেত্রে আমি সমান অধিকারে বিশ্বাসি ।তুমি আমার প্রথম, আর তোমাকেই শেষ বলে এ হৃদয়ে স্থান দিয়েছি, জানিনা পত্র কিভাবে লিখতে হয় অশান্ত পৃথিবীর বুকে আমার এমন মানুষের অভাব হয়নি ।যা তোমাকে প্রথম দৃষ্টিতেই হৃদয়ে আপন করে নিয়েছি । কিছুদিনে পরিচয় মাএ তোমার উপর বিশ্বাস স্থাপন করে গভীর ভাবে ভালবেসে ফেলেছি তোমাকে, তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিওনা , তুমি আমার প্রেম ভালবাসাকে ব্যার্থ হতে দিওনা ।আর তুমি যদি আমার ভালবাসাকে প্রত্যাখান কর তাহলে এই ব্যার্থ জীবনের জন্য একমাএ দায়ী তুমি ।প্রেমে করেছে রাজা ভিখারী, ওরা প্রেমের কারনে হয়েছে বৈরাগী । প্রেম ধর্ম বা জাতকে বিচার করে হয়না । তাই আমি চাই আমার প্রতি তোমার সেচ্ছায় প্রেমের সম্বধনা । তোমার আচার ব্যবহার আমাকে মহনীয় করে তুলেছে ।তাই তোমাকে ভালবাসি ।তুমি না চাইলে আমি তোমাকে অভিসাপ দেবনা ।শুধু আমার হৃদয়ের দরজা খুলে রেখেছি একান্ত ভাবে পাওয়ার আশায় সর্বক্ষণ যেন তোমাকেই নিয়ে ভাবতেই ভাল লাগে ।যখন ভাবি তখন আমার শরীলের সমস্ত শিরা উপশিরা বাজতে থাকে হয়তো তোমার প্রতি আমার ভালবাসার কোন খাদ নেই ।তাই তোমাকে ভেবে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারছিন ।ভবিষ্যতে ও কি হবে জানিনা, তোমাকে নিয়ে যখন ভাবি তখন মনে হয় তুমি আমার পাশেই আছ ।তোমার সেই অপলক চাহনী ,মুখ ভরা মিষ্টি হাসি ,আর তোমার চঞ্চলতা বার বার আমার হৃদয়ে স্পষ্ট ভেসে ওঠে ।তোমাকে ছাড়া কিছু ভাবতে পারিনা,আমার চিন্তা চেতনা সে তোমাকে ঘিরে ।আমার জীবন যাত্রার একমাত্র সাথী তুমি ।আরো কত কিছু বলতে চাই এ হৃদয় মুখের ভাষা হৃদয়ের কাঁন্না শুধু তোমার জন্যে । ভাল থেকো সুখে থেকো ,বিদায় নিবার আগে তোমার সুখি জীবন কামনা করে, আজকের মত এখানেই রাখলাম।
তোমার উওরের আশাই রইলাম।
আরও পড়ুন: ভালোবাসার ছন্দ
ক্লাস ৭–এর মেয়ে জীবনের প্রথম প্রেমপত্র লিখেছে ক্লাস ৮–এর ছেলের কাছে।
আইডিয়া : ফখরুল ইসলাম
বরাবর
নাহিয়ান খান
জনাব আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমি চাই, তুমিও আমাকে ভালোবাসবে। তুমি যদি আমাকে ভালো না বাসো, তাহলে আমি তোমার আম্মুকে বলে দেব যে তুমি লুকিয়ে লুকিয়ে বিড়ি খাও। আর শোনো, তুমি বস্তির ছেলেদের সঙ্গে মার্বেল খেলো কেন? ওদের সঙ্গে আর যেন না দেখি। আর তুমি আমার জন্য মাসুমের মতো হাত কাটবা। কেটে আমার নাম লিখবা। আমি স্কুলে যাওয়ার সময় দাঁড়িয়ে থাকবা। মাঝেমধ্যে আমাকে এটা–ওটা কিনে দিবা। আমি স্কুলে ঝালমুড়ি খাব আর তুমি দাম দিবা। আর আমি যে তোমাকে ভালোবাসি—এই কথা কাউকে বলবা না। বলবা যে তুমি আমাকে ভালোবাসো; কিন্তু আমি তোমাকে পাত্তা দিই না। আমি যা বলছি তা না করলে কিন্তু তোমার আম্মুকে বলে দেব। ইতি তোমার স্নেহের ফারহানা রহমান
নিজের নাম গোপন রাখছি।
স্যারের নাম গোপন রাখছি। কারণ জানাজানি হলে দুজনেরই বিড়ম্বনার সম্ভাবনা।স্কুল জীবনে ভালো মেয়ে ছিলাম। শুধু পড়াশোনায় নয়, দেখতেও। আমাদের দেশে ভালো মেয়ে হওয়ার প্রধান ক্রাইটেরিয়া হল প্রেম না করা। যারা প্রেম করে তারা খুব খারাপ। আমিও সেটাই ভাবতাম। তাই প্রেম থেকে শত হস্ত দূরে থাকতাম। তার ওপর বাবা মা আমাকে ভর্তি করেছিল মেয়েদের স্কুলে। আর স্কুলটা বাড়ির একেবারে কাছে। এমনকি কোচিং এ পড়তে যেতাম না, স্যারেরা বাড়িতে পড়াতে আসত। তাই যাওয়া আসার পথে ছেলেরা পিছনে ঘুরঘুর করবে, তা হত না।
কলেজে যখন ভর্তি হলাম, গার্লস কলেজে চান্স পাইনি, বাড়ির সবাই পইপই করে বলে দিল, প্রেম যেন না করি। কারণ কলেজের ছেলেরা সব দুশ্চরিত্র। বড়দের শিক্ষাগুনে আমিও ছেলেদের এড়িয়ে চলতাম। কিন্তু কি কাণ্ড, প্রথম সপ্তাহেই প্রেমপত্র পেলাম, কোনও সহপাঠীর নয়, অবিবাহিত এক অধ্যাপকের।
এটাই আমার জীবনের প্রথম প্রেম পত্র। আর প্রথম আঘাতেই আমার মনের একটা বন্ধ দরজা হাট হয়ে খুলে গেল। সেকি টানাপড়েন! বাড়িতে কী বলবে? আবার ভাবলাম, কোনও সহপাঠী তো নয়, স্যার! স্যারের সঙ্গে প্রেম করলে নিশ্চয়ই বাড়িতে আপত্তি করবে না? কাপা কাপা হাতে চিঠির উত্তর দিলাম।
একমাস পরেই দ্বিতীয় প্রেমপত্র পেলাম। কী আশ্চর্য এবার একজন অধ্যাপকের। জীবনে যে একটা প্রেম করেনি তাঁর কপালেই দু দুজন অধ্যাপক! কেমন একটা ভয় হল, আমি কি তাহলে খারাপ মেয়ে? নইলে ওঁরা আমাকেই চিঠি দিচ্ছেন কেন? আরও ভয় হল, কোনও একজনকে হ্যাঁ বললে, অন্যজন যদি আমাকে ফেল করিয়ে দেন? যদি বাড়িতে বলে দেন? এই ভয়ে ভয়ে আমার কলেজ জীবন কেটে গেল, প্রেম করা হল না।
এর কয়েক বছর পর, আমি তখন বিবাহিত, আবার দেখা হল, সেই প্রথম প্রফেসরের সঙ্গে। কথা বলে বুঝলাম, তিনি আজ মনে করেন, আমি কয়েকদিন তাঁর সঙ্গে প্রেম প্রেম খেলা করেছিলাম। কি করে আপনাকে সত্যি কথাটা বলব স্যার! মুখে বলতে পারব না, তাই লিখেই জানালাম নয়। আমি জানি আমার ছদ্মনাম দেখলে আপনি ঠিক মানুষটিকে চিনে নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: রোমান্টিক প্রেমের ছন্দ
প্রিয় …
তোমাকে কি বলে যে সম্বোধন করব বুঝতে পারছি না। তাই প্রিয় শব্দটার পর জায়গাটা খালি রাখলাম। তুমি তোমার ইচ্ছে মত কিছু একটা বসিয়ে নিয়ো। যাই হোক, ভালো আছো? জানো, আমার চিঠিটা পাওয়ার পর তুমি চিঠিটা হাতে নিয়ে পড়ছ গভীর আগ্রহে। সেই দৃশ্যটা ভেবে আমি চিঠিটা লিখছি। কিন্তু তোমার মুখটা স্পষ্ট না। তাই বুঝতে পারছি না, এই চিঠি পেয়ে তোমার অনুভুতি কেমন। তবে তোমার অনুভূতি দেখার খুব শখ। আচ্ছা আমাদের কি দেখা হবেনা? আর দেখা হবেই বা কেমন করে বল? তুমিও আমার শহর চেনোনা আর আমিও তোমার শহর চিনি না। এইটা কোন কথা? তাই বলে কি আমাদের দেখা হবে না? হবে হবে। “তোমার আমার দেখা হবে মরণের পরে”।আচ্ছা! একটা ধাঁধার উত্তর দাও তো। ” তুমি থাকো ডালে ডালে, আমি থাকি জলে জলে। তোমার আমার দেখা হবে মরণের কালে। ” ধাঁধার উত্তরটা দিতে পারলে একটা চকলেট দিবো। যেদিন দেখা হবে সেদিনই চকলেটটা দিবো। ভেবো না যে ফাঁকি দিবো। চকলেটের সাথে আরো কিছু দিবো। শুধু একটাবার একটাবার দেখা করতে চাই। হোক না সে দেখা প্রথম এবং শেষ দেখা। তবুও দেখতে চাই, যে না দেখেও কেন এত ভালবাসলাম। আমি তোমাকে আর তুমি আমাকে। আচ্ছা, তুমি দেখতে কেমন? দেখা হলে তোমাকে চিনবো কেমন করে? জানো! খুব জানতে ইচ্ছে করে। কথা বললে তোমাকে কেমন দেখায়, হাসলে তোমাকে কেমন দেখায়, রাগ করলে তোমাকে কেমন দেখায়। আর কষ্ট! সেটা তো তোমাকে নাকি স্পর্শই করতে পারেনা। আচ্ছা, এত সুখ পাও কোথায় বলত? আমাকে তো কিছু দান করতে পারো। জানো, তোমার চিঠি পাওয়ার পর খামটা হাতে নিয়ে ভাবছিলাম, এটা কি চিঠি? খামটা এত মোটা কেন? যাই হোক, চিঠিটা খুলতেই ভড়কে গিয়েছিলাম। ১০০ পৃষ্ঠার একটা চিঠি। এটাকে চিঠি না বলে দলিল বলা উচিত। প্রতি পৃষ্ঠা, প্রতি পাতা জুড়ে ‘ভালোবাসি’ কথাটা লেখা। বুঝতে পারলাম এইটা আমার নামে লেখা তোমার ভালোবাসার দলিল। কিন্তু এইটা কোন কথা? শুধুই ভালোবাসি? আর কোন কথা নাই? জানো, আজকাল আমার নাকি একটা মুদ্রা দোষ হয়েছে। সেটা হল কথায় কথায় বলি, ‘এইটা কোন কথা?’ সেদিন বুবু রেগে বলেছিলো এই কথা ওর সামনে বললে কষে একটা চড় দিবে। আমি তো ওর কথা শুনেই অবাক হয়ে বললাম, ‘এইটা কোন কথা?’ আচ্ছা তুমিই বল, ‘এইটা কোন কথা?’ আচ্ছা চিঠিটা শেষ করা দরকার। যে কোন সময় বুবু চলে আসতে পারে। কিন্তু ভাবছি চিঠিটা শেষ করবো কি করে? স্কুল জীবনে বাংলা ক্লাসে চিঠি লিখতে দিলে কয়েক পৃষ্ঠা জুড়ে চিঠি লিখতাম। ক্লাসের শেষ ঘণ্টা পড়ে যেত তারপরও চিঠি লেখা শেষ হত না। আর তোমার কাছে লিখতে গেলে তো সারা জীবনেও চিঠি লেখা শেষ হবেনা। কিন্তু, বুবু দেখলে আস্ত রাখবেনা। তাই ঠিক করেছি আর কথা বাড়াবো না। তবে চিঠির উত্তর দিও, অপেক্ষায় থাকবো। এইবার তোমার মনে দলিলটা চাই। ভালো থেকো। অনেক ভালবাসা রইল।
ইতি,
( দেখছ? বাবা মা কি নাম দিল যার অর্থই শেষ। শুরু না হতেই শেষ। এইটা কোন কথা? )
লতা,
আসসালামু আলায়কুম। আশা করি তুমি ভালো আছ। আমিও তাঁরই দয়ায় ভালো আছি। লতা, তুমি আমার সুখের স্বপন। তাই আমি তোমার জন্য থাকি সতত মগন। সুমধুর তোমার কন্ঠস্বর বা বচন। তোমার কন্ঠস্বর শুনেছি যখন তুমি সেমিনারে পবিত্র পাক কুরআন থেকে তেলাওয়াত করছিলে। শুনছিলেন লক্ষ লক্ষ সেমিনারের শ্রোতাবর্গও । একদিকে অপরুপ তোমার রুপের বাহার। অন্যদিকে তোমার অনেক গুণ যা দিয়ে জয় করেছ আমার অন্তর। আমি ভাবি, তুমি কেবল আমারই একজন। আমিও তোমারই রতন।লতা, তুমি রুপে–গুণে অনন্য। তুমি পবিত্র ও পুণ্য। তাই আমি অপেক্ষা করে আছি তোমারই জন্য। ছুঁড়ে দাও সকল অভিমান। তুমি আমার দর্পণ। তোমার সুন্দর দু’টি নয়ন। তোমার মনোরম জীবন। তুমি অটুট থেকো চিরদিন। তোমার নয়ন কর উন্মিলন। আমি তোমাকে সদা করি স্মরণ। তোমার পবিত্র জীবন। তুমি হবানা কখনো মলিন। আমি তোমার প্রতি মুগ্ধ। কারন, আবরুর মাঝে অনুধাবন করেছি তোমার অপরুপ বদন। তুমি নিরত নতুন। তোমাকে তাই করতে চাই আপন। আমি দেখেছি তোমার একমাত্র সম্বল জ্ঞান। আরো দেখেছি তোমার নেশা জ্ঞান অর্জন করা। তাই জ্ঞান অন্বেষণে তুমি করে থাকো অসাধারণ ভাবে অধ্যয়ন। লতা, তোমার প্রতি আমার মুগ্ধতার বিশেষত্ব হলো – সেদিন সেমিনারে মহান সৃষ্টিকর্তা সম্বন্ধে তোমার বক্তব্যে তুমি বলছিলে যে, তিনি সেই মহান আল্লাহ, যিনি ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই। তিনি প্রকাশ্য–অপ্রকাশ্য বিষয়বস্তু সম্বন্ধে জ্ঞাত। তিনি বড়ই মেহেরবান ও দয়ালু। তাঁর কোনো শরীক নেই। তিনি এক ও অদ্বিতীয়। তিনি সত্য, তাঁর দ্বীন সত্য, তাঁর কালাম সত্য, আখেরাত সত্য, বেহশ্ত–দুযোখ সত্য এবং তাঁর ফেরেশ্তারা সত্য। তিনি বাদশাহ, পবিত্রতম তাঁর সত্ত্বা। তিনি নিরাপত্তা দানকারী, আশ্রয়দাতা, রক্ষাকর্তা, পরিত্রাতা–পবিত্র ও মহাপরাক্রম গর্বের অধিকারী ও সুমহান। তিনি সৃষ্টিকর্তা–উদ্ভাবনকর্তা ও শ্রেষ্ঠ রুপশিল্পী। তাঁরই জন্য উত্তম উত্তম নামসমূহ রয়েছে। তিনি মহান পরাক্রান্ত প্রজ্ঞাবান। তোমার উদ্ধৃতির সূত্র ছিলো– তাফসীর ইবনে কাসীর। আল্লাহ শব্দের তাহকীক অধ্যায়। প্রিয় লতা, তুমি কী জানো! সেদিন সেমিনারের শ্রোতারা মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় শুনছিলেন তোমার বক্তব্য। অনেকের চক্ষু দিয়ে ঝরঝরিয়ে অশ্রু ঝরে পড়ছিলো। এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পার তোমার প্রতি আমার দুর্বলতা কোথায়! ধর্মের প্রতি, মানবের প্রতি ও সাধারণ আচার – আচরণের ক্ষেত্রে যে অতুল আদর্শ তুমি তুলে ধরেছ, তা মনমুগ্ধকর। হিযাব ছাড়া তুমি এক পা কোথায় যাওনা। এসব কারণে আমার সব প্রেম, সব চাওয়া ও ভালোবাসা তোমারই জন্য। লতা, এ জীবনে যদি আশা না পুরে । ক্ষুব্ধ হব না, না পাওয়ার হতশা অন্তরে ধরে। দোয়া করবো দু’হাত পসারি। দু’জাহানে কল্যাণ চাইব দু’জনারই। কথা দিচ্ছি, থাকবে তুমি হৃদয়াসনে। আমাকে রেখ দু’নয়নে। প্রভুকে ডেকো সব সময়ে মনে – প্রাণে । তুমি কী জানো যে, আমার প্রাণেতে তোমাকে পাবার তরে কতটা তুফান! যদিও জানি, তুমি আমারই একজন। জানিনা! আমরা উভয়ে উভয়কে অতি কাছে পাব কী না! একমাত্র তাই করেছি তোমার তরে অশেষ ধৈর্য ধারণ। নদী–সাগর সম তোমার হৃদয়। তবে আমার শূণ্য হৃদয়! প্রাণের জটিল যন্ত্রণা। লতা, জানি প্রভুর দয়ায় যন্ত্রনা একদিন থাকবেনা। যখন থাকবেনা, তুমিতো আসবে আমার ঘরে। জ্যোৎস্না ও তারকারাজি ঝলমলিয়ে ওঠবে। বসন্ত বৃষ্টিবারিধারা নামিয়ে আনবে। মনের উজ্জ্বল আলো জ্বলজ্বল করে জ্বলবে। অমলিন হাসি তোমার অধরে ফুটবে। সবই দেবে প্রশান্তি উপহার। দুশ্চিন্তা থাকবে না প্রাণে–শিরে ও নীড়ে। থাকবো না কেউ মনোদু:খ লয়ে। শোভা ছড়াবো উভয়ে। তোমার পরীক্ষার ফলাফল জেনেছি। তুমি বরাবরই প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেছ। এম.এ তেও তোমার গৌরবময় ফলাফল। আজ আমার খুবই আনন্দ মনে। তোমার মনে আনন্দের অন্ত নেই এই ক্ষণে। আমি স্যোসাল রিফরম বিষয়ে লন্ডনে পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়ন করছি। তুমিও পিএইচডি কোর্স সম্পন্ন করবে শুনে যারপর নাই আনন্দিত হয়েছি। তোমার রুপ চমৎকার। লতা, পড়তেও তো পারি, না পাওয়ার বিপাকে! তাই পাঁচ ওয়াক্ত ও তাহাজ্জত নামাজে প্রভুকে বলি ডেকে ডেকে। পুণ্য প্রেমে উদ্বুদ্ধ তুমি–আমি দু’জনে। তোমার প্রেম আমার জীবনে এসেছে অতি গোপনে। আমিও সকল আবেদন–নিবেদন রেখেছি সংগোপনে। তোমাকে ভাবি আমি চেতনে – স্বপনে। তোমাকে নিয়ে কখনো কখনো পাই জীবনে নব জাগরণ। তাই হৃদয়ে নিভৃতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি তোমায় ভাবতে। দুয়া করি লতা, ভালো থেকো। দুয়া কর আমি ও সকলেই যেন ভালো থাকেন প্রভুর দয়ায়। আমার আচরণে ব্যতয় পেয়ে থাকলে ক্ষমা করে দিও।
অপেক্ষায় তোমার রতন
প্রিয় সকাল,
শুভ্র ভোরের মিষ্টি আবেশ গায়ে মেখে খোলা বারান্দায় বসেছি তোমাকে চিঠি লিখতে। এই সময়ে মনের ভাব বিনিময়ের প্রধান আকর্ষণ মুঠোফোন আর কি–বোর্ডের বাটনগুলোকে ছুটি দিয়ে কাগজ–কলমের শরণাপন্ন হলাম। আমি আছি বারান্দায়/ বসে একা নিরালায়/ পথ চেয়ে তোমার অপেক্ষায়/ পাখিগুলো নেচে নেচে/ আমায় যেন ডেকে যায়। আজকের সকালটি আমার জীবনে অন্য রকম এক ভালোবাসার উচ্ছ্বাসে ভরা। ব্যালকনিতে রাখা নয়নতারার পাপড়িতে চুপটি করে বসে থাকা শিশিরে সিক্ত সকাল তুমি। হালকা ঝিরঝির বাতাস যখন বাসরলতাগুলোকে কাঁপিয়ে দিয়ে যায় তখন আমার খুব ইচ্ছে করে ওই বাতাসে তোমার অবাধ্য চুলের উড়াউড়ি দেখতে। তুমি কি জানো, যখন তোমার চুলগুলো এলোমেলো হয়ে যায় তখন তোমাকে দেখতে প্রবীণ বটবৃক্ষের মতো লাগে। দুটো শালিক উড়ে এসে আমার খোলা বারান্দায় বসল। বুঝলাম, দুটি মনের মিল ছিল বলেই আজ আমাদের দু’জনার দু’টি মনের উঠোন এক হয়ে গেছে। সকালের প্রথম রোদে নিজেকে রাঙিয়ে নিলাম শুদ্ধ ভালোবাসার আলোয়। ঠিক এই মুহূর্তে আমি যেন আমার ভেতর কেমন পরিবর্তন দেখতে পাই। ইচ্ছে করে চিৎকার করে সমস্ত পৃথিবীকে জানিয়ে দেই– আমি সকালকে ভালবাসি। কাউকে ভালোবাসলে তার উপর অধিকারবোধ এমনিতেই জন্মে যায়। সেই অধিকার–বলে দাবি করতে পারি– সকাল, তুমি শুধু আমার। শুধুই আমার। একটা সময় ভাবতাম ভালোবাসা বুঝি দেখে–শুনে, বেছে, খুঁজে, মিলিয়ে তারপর হয়। কিন্তু না, ভালোবাসা হয় আচমকা, নীরবে, নিভৃতে, নিঃশব্দে। ভালোবাসার জন্ম হয় ভালোলাগা বা মুগ্ধতার ওপর ভিত্তি করে। যতক্ষণ ভালোবাসা প্রকাশ না পাবে ততক্ষণ তা মনকে পোড়াতেই থাকবে। পোড়াতে পোড়াতে চৌচির চিতা নদী
চন্দনবনে অগ্নির মতো জ্বলে,
ভূকম্পনের শিখরে তোমার মুখ
হঠাৎ স্মৃতির পরশনে গেছে গলে।
(নির্মলেন্দু গুণ)
দু’টি মনের টান, অব্যক্ত কথামালা, একটু দেখার আকুলতা, পাশাপাশি থাকার ব্যাকুলতা, স্নিগ্ধ ভালোলাগা, স্বপ্ন ছুঁয়ে যাওয়ার নামই যে ভালোবাসা, তা আজ আমার অবুঝ হৃদয় গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছে। একটু একটু করে নরম রোদ ছড়িয়ে পড়েছে নীল আকাশে। একইভাবে তোমার ভালোবাসা আমার নিউরনের প্রতিটি কণায় ছড়িয়ে দিচ্ছে ভালোলাগার বার্তা। স্মৃতির অতলে ডুব দিয়ে পেলাম একটি লাল গোলাপ। কোনো এক ছুটির দিনে ভালোবাসা–মাখা সেই গোলাপটিই ছিল তোমার কাছ থেকে আমার প্রথম প্রাপ্তি। তখন নিজের অজান্তেই মন আবৃত্তি করে উঠেছিল প্রিয় কবিতার চরণ–
এর আগে তুমি কোথাও ছিলে না
ছিলে না আকাশে, নদী জলে ঘাসে
ছিলে না পাথরে ঝর্ণার পাশে।
এবারই প্রথম তুমি।
স্মৃতির অ্যালবামে রাখা ছুটির দিনে প্রথম গোলাপ পাওয়ার মুহূর্তটি আবার আমাকে স্মরণ করিয়ে দেয় সকাল শিশিরকে ভালোবাসে, শিশিরও সকালকে ভালোবাসে। তাই তো শিশির মধ্যরাতের পর থেকে ভোর হওয়া অবধি অপেক্ষা করতে থাকে সকালের দেখা পাবে বলে। সবুজ ঘাসের বুকে শিশিরের সাথে আলাপ করতে সকাল যে আসবেই।
সেদিনের কথা খুব মনে পড়ছে এখন। শেষ বিকেলের ট্রেনে যখন বাড়ি ফিরব; সেই বিদায় বেলায় আমার কেন যেন চোখ ফেটে কান্না আসছিল তখন তুমি কাছে এসে আমার হাতটি ধরে বললে–
তুমি অমন ক’রে গো বারে বারে জল–ছলছল চোখে চেয়ো না,
জল–ছল–ছল চোখে চেয়ো না।ঐ কাতর কণ্ঠে থেকে থেকে শুধু বিদায়ের গান গেয়ো না,শুধু বিদায়ের গান গেয়ো না।(কাজী নজরুল ইসলাম)
বাড়ি ফিরলাম বিরহ–ভরা অনুভূতিতে, মন ছিল শান্ত, স্থির। তোমার বলা কবিতাটা বারবার মনকে আন্দোলিত করছিল। নানা স্মৃতি নানা রঙে নানা সুরে গান গেয়ে জানান দেয় তোমার কথা। তাই তো সবুজাভ খামে ভরে ভালোবাসার আমন্ত্রণে প্রেমের রঙিন চিঠি দিলাম আমার সকালের ঠিকানায়।
সবশেষে রইল বাকি একটি কথা–
আমি কেবল আমি কেবল
আমি কেবল দেখি,
ভালোবাসার দেয়াল জুড়ে
একটিপ্রজাপতি।
–তোমার শিশির কণা।
প্রিয় পরীর বাচ্চা,
জানি না দিনের কোন সময় এই লেখা তুমি পাবে। আমার এখানে এখন কেবল সূর্য উঠছে। লাল সূর্য। গভীর সমুদ্রের বুক থেকে। মনে হচ্ছে যেন ঠিক এই মুহূর্তে আমার মতই নিঃসঙ্গ। প্রিয়া, খুব ইচ্ছা ছিল অন্তত আজকের দিনটা তোমার সাথে থাকতে। কিন্তু কী করবো বল? লাস্ট পোর্টে সাইন অফ করতে পারি নি। ৫ মাসের কন্ট্রাক্ট তাই ৬ মাসে গিয়ে ঠেকছে। আমার খুব ই কষ্ট হচ্ছে। ইচ্ছে করছে এই মুহূর্তে প্রশান্ত মহাসাগর থেকে উড়ে এসে তোমার বুকে পড়ি। কিন্তু তা তো আর হবার নয়। এর আগে প্রতিটা ভালবাসা বার্ষিকীতে তোমার পাশে ছিলাম। যেভাবেই হোক দিনটা আমরা এক সাথে উদযাপন করেছিলাম। আমি জানি আমাকে পাশে না পেয়ে তোমার অনেক কষ্ট হচ্ছে। প্লিজ আমাকে তুমি মাফ করে দিয়ো আর কোন রাগ রেখো না আমার উপর লক্ষ্মীটি। হয়তো একলা ঘরে একটা কেক নিয়ে একা একা বসে আছো। ভাবছো লাস্ট পোর্টে সাইন অফ না হবার কথা তোমাকে মিথ্যা বলেছি। আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকীর দিনের মত সারপ্রাইজ হয়ে তোমাকে কিছু না জানিয়ে উপস্থিত হব। তোমাকে জড়িয়ে ধরে একসাথে আমাদের ভালবাসা দিবসের কেক কাটবো। বিশ্বাস কর সোনা আমারও ঠিক এমনি ইচ্ছা ছিল। ভেবেছিলাম তোমাকে না জানিয়ে হুট করে চলে এসে তোমার অবাক হয়া আর চোখ বেয়ে টলটল করে নেমে আসা জলের আনন্দধারা দেখবো। হাহ! তা আর হয়ে উঠলো না। আচ্ছা দেশে কি এখন খুব বৃষ্টি হচ্ছে? সেদিন ফোনে বলছিলে অনেক বৃষ্টি, আমাকে মিস করছ। কথাটা শুনার পর একরাশ শূন্যতা আমাকে ঘিরে ধরেছিল। তোমার সাথে কথা বলার পরই ব্রিজের উইংসে গিয়ে অনেক্ষন নীল আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হয়ত কান্নাও করেছিলাম। ঠিক মনে আসছে না। জানো আমাদের রিলেশনের পর থেকে তোমার দেয়া ৫৬ টা চিঠি আমি এবার আসার সময় জাহাজে নিয়ে এসেছি। যখন ইচ্ছা করে তখনি একটা চিঠি লটারির মত করে সিলেক্ট করে পড়ি। কিছু সময়ের জন্য সম্মোহিত হয়ে যাই। মনে হয় যেন আমার পাশে বসে তুমি আমাকে চিঠি পড়ে শোনাচ্ছ। তোমার শরীরী উপস্থিতি টের পাই চিঠি গুলোর মধ্যে। নিঃসঙ্গ জীবনে এখন এগুলোই আমার অনেক বড় বন্ধু। আর একটা বন্ধু বিভিন্ন সময়ে তোলা আমাদের ছবি আর ভিডিও গুলো। সিলেটে পাহাড়ে ঘুরার সময় ছবি তোলার থা বলে তোমার অজান্তে একটা ভিডিও করেছিলাম। তোমাকে ছবি তোলার জন্য রেডি হতে বলছিলাম আর তুমি দুষ্টামি করছিলে শুধু। প্রযুক্তির কল্যাণে সেই ৫ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের ভিডিওটা আমার ল্যাপটপে। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায়ই এটা দেখি। নিজের অজান্তে তোমার কাছাকাছি চলে যাই। জাহাজের দুলুনি, সমুদ্রের বাতাসের একটানা শোঁ শোঁ শব্দ আর নোনতা গন্ধে বাস্তবে ফিরে আসি। লোহার জাহাজের কঠিন বাস্তব। আমি অবশ্যই তোমার জন্মদিনের আগে ফেরার চেষ্টা করবো। কোম্পানির সাথে আজও কথা হয়েছে ক্যাপ্টেনের মাধ্যমে। যে করেই হোক নেক্সট পোর্টে আমার রিলিভার ম্যানেজ করে পাঠাবে। পোর্ট থেকে বের হয়ে প্লেন ধরেই সোজা তোমার কাছে চলে আসবো। আর আজকের দিনের কষ্টটা যাতে ভুলে যাও সেই ব্যবস্থা করবো। ছয় সত্যি। মানে ডাবল তিন সত্যি। আমাদের সুন্দর দিনের জন্য অনেক দোয়া করবে আল্লাহর কাছে। একটু পর ই ডিউটিতে চলে যেতে হবে সোনা। নিজের যত্ন নিয়ো। আর ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া কোর। ইতি, তোমার ভালবাসা। ১৪ জুলাই। পাঠকদের জন্যঃ সবার ভালবাসা দিবস ১৪ ফেব্রুয়ারি হয় না। আমার ভালবাসা দিবস ১৪ জুলাই। বিশ্ব ভালবাসা দিবস হিসেবে চিঠিটা শেয়ার করিনি। শেয়ার করেছি আমাদের ভালবাসার ৬৭ তম মাস সেলিব্রেট করতে। কি করবো?? বছর গুলো মিস হওয়ার অনেক চান্স থাকে। তাই মাস ই সেলিব্রেট করা লাগে। আর চিঠির সকল চরিত্র ও ঘটনা বাস্তব। সব প্রেমিক মেরিনারের একান্ত মনের কথা শেয়ার করলাম।
প্রিয়তমা শুনছো, ভালোবাসি, খুব ভালোবাসি তোমায়। পরিমাপ করে হয়তো বলতে পারবো না, কতোটা ভালোবাসি তোমায়। ভালোবাসার ট্র্যাজেডি কোন গল্পে আমাকে বেকার বলতে পারো। আমার আর যে কাজ নেই, কিচ্ছু করার নেই। –তোমাকে ভালোবাসি, বেসে যাই প্রতিদিন নিয়ম করে। মাঝে মাঝে তোমাকে বিভিন্ন নামে ডাকি। বুঝেছো প্রিয়তমা? অনেকদিন আগে থেকেই তোমাকে ভাবতাম ব্যালেট ড্যান্সার ব্যালেরিনার মতো করে! কতো কি ভেবেছি, কতো ভালোবেসেছি তোমায়! বিশ্বাস করাতে পারবো না। অবুঝ শিশুর মতো ছিল সেই ভাবনাগুলো। ভালবাসতে গিয়ে কতো কেঁদেছি, কতো হেসেছি তোমার কাছে হঠাৎ করে শুনে ফেলা সেই আমার প্রিয় কথাটি। পাগল! – তারপর শেষ চিঠি লিখেছি, আর লিখবো না বলে। সত্যি বলছি আমার ভেতরটা কষ্টে ফেটে যাচ্ছিলো। তোমাকে ব্যালেরিনা ভেবে আমি আর লিখবো না, আর কাঁদবো না নিজের কোন ভুল হিসেবের করা কবিতার খাতায়! তোমাকে বলেছি একটি নাম দাও, যেই নামে তোমাকে ডাকবো। দিলে তো নাই, উল্টো বলে দিলে ,আমি পারবো না! হুমায়ূন আহমেদের একটি কথা তখন খুব অনুভব করতাম– মানুষ নাকি অনেক কষ্টই সহ্য করতে পারে; কিন্তু প্রিয়জনের অবহেলা! সে কি সহ্য করার মতো? মানুষ এ কষ্ট সহ্য করেতে পারেনা। আমি সহ্য করেছি। কাউকে কিচ্ছু বলিনি। বলতে পারো, আমি এখনও মানসিকভাবে বাচ্চাই রয়ে গেলাম! পার্ল, শুনছো? তোমাকে একটি চিঠি দিলাম। ভাবলাম এ নামটিতেই নতুন করে ভেবে নেবো তোমাকে। নতুন করে ভালবেসেছিলাম সে কয়দিন। ভালোবাসার নাকি রূপ পাল্টায়! আমারও পাল্টে প্রতিদিন। তোমাকে যখন ভাবি, আমি কি নিজের ভেতর ঠিক থাকি? না, কখনোই না। আরও বেশি ভালবাসতে গেলাম। কিন্তু সেই ভালোবাসা তোমার কাছে কেমন অসহ্য লেগেছিল। তাই না? তুমি তো জানোই ইচ্ছে করলেও আমি তোমাকে ভুলতে বা অন্যকিছু নিয়ে ভাবতে পারি না, এ হয়না। তোমার অবহেলা আমার গা সয়ে যাওয়ার মতোই ছিল সারাজীবন। না, তোমাকে তো কখনও বলিনি, চল না আমরা ওখানে গিয়ে ঘুরে আসি। বলিনি কখনো, তোমার হাতটা একটু ধরতে দেবে? কখনো বলিনি বা ঈশ্বরের কাছে বিচার দেইনি, তিনি তোমার চোখকে কেন আমার কাছে টেনে নিয়ে যায়? আমার তো এটিই চাওয়া, শুধুই আমাকে ভালবাসতে দাও, শুধু এটিই দাও প্লিজ! তোমার দিক থেকে শুধু এ অনুমতির সম্মতিই চেয়েছিলাম সারাজীবন। ব্যালেরিনা থেকে পার্ল! পার্ল টিকলো না। জানতাম সে টিকবে না। জোর করে কোন কিছুই পৃথিবীতে টেকানো যায় না। তুমি যে আমার কাছে সেই ছোট বেলার খেলার সাথীই রয়ে গেলে। জীবনটা নাকি মাঝে মাঝে গল্পের মতো সুন্দর হয়, হয়তো বা! আমার গল্পে তোমাকে আর নাম দেবো না। কোন নামেই তোমাকে এখন মানিয়ে নিতে পারিনা। আমার গল্পে যদি কখনো তোমার নিজের নামটিই লিখতে পারি, অনেক অনেক বেশী রঙিন হয়ে উঠবে কাগজের পাতাগুলি। তুমি আসবে বলেই , আকাশ মেঘলা বৃষ্টি এখনো হয়নি তুমি আসবে বলেই , কৃষ্ণচূড়ার ফুল গুলো ঝরে যায়নি তুমি আসবে বলেই, সোনালী স্বপ্ন ভীর করে আসে চোখে তুমি আসবে বলেই, আগামী বলছে দেখতে আসবো তোকে। – তুমি আসবে বলে, আমি স্বপ্ন দেখে যাই আর একটা করে দিন চলে যায়। যেভাবেই হোক, আমার হাতের স্পর্শ তুমি পাবেই! অপেক্ষায় থেকো, আর ভালো থেকো। আজ এখানেই – তোমার অনভিপ্রেত পাগলটা!
খুব ভালো লেগেছে
ম