রোমান্টিক কবিতা প্রেম ভালোবাসার কবিতা কিছু কথা। বন্ধুরা এখানে কিছু সেরা রোমান্টিক প্রেমের কবিতা আপনাদের জন্য তুলে ধরেছি। আপনারা আপনার প্রিয় মানুষটির সাথে রোমান্টিক হতে চাইলে এই কবিতা গুলো তার সাথে বলতে পারেন। আর হ্যা মনে রাখবেন প্রেমে কিন্তু রোমান্টিকতা বার বার ফিরে আসেনা। সেইজন্যই লোকে বলে থাকে প্রেমে পড়া মানেই রোমান্টিকতা।
কবিতার নামঃ সেই চিরায়ত তুমি
প্রেমের প্রহেলিকার অন্তরালে
তোমার মুখের পানে চেয়ে এখন
ভালোবাসি বলতে পারি,
তোমার প্রতি ক্ষণের উপস্থিতি
পৃথিবীর উচ্চতায় এগিয়ে দেয়…
আরো ক‘টা বছরের অভিশাপ
বয়ে বেড়াবার;
তোমার হাতছানির অঙ্গীকারে
হতচ্ছাড়া জীবনে সন্ধ্যার ছায়া হয়ে
মিলন রাত নেমে আসে।
তোমার ব্যস্ত জীবনের দিনটি
বয়ে যাওয়া সময় হয়ে
আর একটি সকালে শিউলি তলায় দাঁড় করায়।
তোমাকে বুঝতে চাওয়ার বোকামিতে
তোমায় হারাতে চাইনা বলে
তোমার জন্য ঘর গোছাই।
ফানি রোমান্টিক কবিতা
প্রেমের প্রতিমা তুমি, প্রণয়ের তীর্থ আমার।
বেদনার করুণ কৈশোর থেকে তোমাকে সাজাবো বলে
ভেঙেছি নিজেকে কী যে তুমুল উল্লাসে অবিরাম
তুমি তার কিছু কি দেখেছো?
একদিন এই পথে নির্লোভ ভ্রমণে
মৌলিক নির্মাণ চেয়ে কী ব্যাকুল স্থপতি ছিলাম,
কেন কালিমা না ছুঁয়ে শুধু তোমাকেই ছুঁলাম
ওসবের কতোটা জেনেছো?
শুনেছি সুখেই বেশ আছো, কিছু ভাঙচুর আর
তোলপাড় নিয়ে আজ আমিও সচ্ছল, টলমল
অনেক কষ্টের দামে জীবন গিয়েছে জেনে
মূলতই ভালোবাসা মিলনে মলিন হয়, বিরহে উজ্জ্বল।
এ আমার মোহ বলো, খেলা বলো
অবৈধ মুদ্রার মতো অচল আকাঙ্ক্ষা কিংবা
যা খুশী তা বলো,
সে আমার সোনালি গৌরব
নারী, সে আমার অনুপম প্রেম।
তুমি জানো, পাড়া-প্রতিবেশী জানে পাইনি তোমাকে,
অথচ রয়েছো তুমি এই কবি সন্নাসীর ভোগে আর ত্যাগে।
হেলাল হাফিজ || প্রতিমা
রোমান্টিক ছোট কবিতা
প্রেমের কবিতা
নির্মলেন্দু মাইতি।
অনেক দিন তোমার কবিতা লেখা হয়নি!
নির্জন নিরালায় খসে পড়া পাতার শব্দে
গাছের তলায় , দীঘির ধারে মাছরাঙা উড়ে-
রঙ্গিন পাখায়। রঙ্গে ভরা মনের মৌসুমী।
আজ তোমায় পড়ছে মনে !
ছোট্ট আমি , তখন আমি নবম শ্রেণী।
তুমি‘ তখন ও “তুমি ” হয়ে উঠনি।
আমার ও অবশ্য “আমি ” হওয়া হয়নি।
তোমার বেড়ে ওঠা আমার লজ্জার কারণ
অঙ্কুরে কুঁড়ির সাথে মনটা কেমন করে।
একে একে চিহ্নিত হয় —
রং এর মাঝে রঙ্গিন প্রস্ফুটিত সত্তা।
খেলার ছেলে তোমার বেড়ে ওঠা
জাগিয়ে তোলে মনের সাঁজবাতি।
এলো মেলো জীবন দ্যুতি –
আলোর ছটায় উঠছে মেতে মন।
জাগিয়ে তোলা শিহরণে,
চিরকুটে লেখা কথাকলি
সাহস ভরে তোমার কথাঞ্জলি।
ফেলে দিয়ে ও কুড়িয়ে নিয়ে-
আবার দিয়েছ ফেলে।
গান গেয়েছি নিজের সাথেই,
আবোলতাবোল পাগলামোতে।
সুরের সাথে তালের নূপুর-
তোমার হাজার রূপে।
লাল কিংবা মেরুন হয়তোবা অন্য রং এ
রাঙ্গাও ঠোঁট এলো মেলো এলোকেশী।
জড়িয়ে গায়ে তুল তুলে রং –
ধরাও হাতে রং তুলি।
একটি গোলাপ হয়নি দেওয়া
যাদের দেওয়ার ছিল কথা।
সেসব বন্দী মনের খাঁচায় পরাণ পাখি হয়ে।
একলা তুমি থাকবে কেমন করে?
খোঁজ পড়ে তাই মনের মাঝে,
কবুতুরের ডানায় ডানায় ভাসাই মন তরী।
প্রলেপ দেওয়া মনের মোমবাতি
ছায়ার সাথে ঘুরে ঘুরে জীবন!- ছায়াছবি।
না এসেও এলে তুমি, যদিও রইলে বহুদূরে!
তারায় তারায় উঠল ভরে মনের আকাশ
গভীর রাতে রইলে জেগে গুনলে প্রহর,
চাঁদের দেশটা ফিরবে কবে?
তোমার সাথে খুনসুটি আর রাতের স্বপ্ন গুলো
ভাগ বসিয়ে হাসির সাথে উঠল বেড়ে ওরা।
অফুরন্ত স্রোতে ভেসে ভেসে ঠেকলে পাড়ে,-
থাকলে পড়ে;-একা জীবন মহোৎসবে।
বন্দী খাঁঁচায় যায় না রাখা —
তোমার খোঁজে পাগল যারা!
দিন দুপুরে, শীতল রাতে, ঝড়ো হাওয়ায়
ছুঁয়ে ছুঁয়ে গেলে পরশ খানি দিয়ে।
জীবন খেলায় মন চলে যায়
বাদল ধারায় ঝর্ণা হয়ে অঝোর ঝোরে
ঝরাও তুমি মনের অশ্রু জল।
এখন তুমি বলছো আমায়,
আলতো করে ধরবে আমার হাতখানি ?
মনের মাঝে মুক্ত আকাশ, মুক্তি পেতে চাও
নতুন করে বাঁচবে বাসবে ভালো আমায়।
রাতের রোমান্টিক কবিতা
আজ যদি ভেঁঙ্গে যায় স্বপ্নের ভীষন ঘোরের রাত্রি,
আমি বলবো এ তার দোষ
এ তার প্রেমের লীলাখেলার ছল
আমি যদি হারাই নিয়ন্ত্রণ
এ হবে তার কামনার কৌশল ।
আমি মেঘের ডানায় উড়াল দিবো বলে –
তার বাহুডোরে ভেজা জলে ডুব দিয়েছি গহীন বরষার মাঝে
আমাকে খুঁজে খুঁজে হয়রান হোক আজ সবাই
আমিতো মুখ লুকিয়েছি তার বুকের সমুদ্দুরে
পাবেনা পাবেনা খোঁজ আমার
আমিতো আর নেই আমার মাঝে
আমিতো হারিয়েছি তার প্রেম জোয়ারের চোরাবলিতে।
আমি সিক্ত ,আমি রিক্ত
আমি ভাসি ,আমি ডুবি
আমি আছি ,আমি নেই
আমি যে আমি –
আমি ভুলেছি সে সত্য !
আমি যে এখন তার –
ভালোবাসায় হিতাহীত জ্ঞান শূন্য ।
এতো নয় আমার দৈন্যতা
এ নয় আমার হেরে যাওয়া
এযে নয় কোনো যুক্তি তর্ক
এ নয় কারো বশ্যতা স্বীকার
এ আমার গর্ব
এ আমার পরম সৌভাগ্য
এ আমার সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্ঠ উপহার –
তাহার সাথে নামটি জুড়েছে আমার ।
উম্মে ফাতেমা তুজ জোহরা
বিখ্যাত রোমান্টিক কবিতা
তুমি হবে শুরুর গান ।
হাঁটবো মসৃণ মহাদেশের শহরে ।।
ঘুম ভেঙে প্রেমের টান ।
পর্দা সরিয়ে আলো ছুয়ে ঠোটে পরে ।।
অসম্ভব ভেবে হাঁটবে কবিতা ।
হেসে মন চিরকুট লিখে ।।
আসবে জোয়ার শীতের আনাচে ।
তারাগুলি এসে করবে নতুন বসন্ত ।।
কথাগুলি প্রজাপতির সেজে ।
চুপিসারে দিন বলুক না হোক অন্ত।
বাহারি সতেজ নিভাক আলসে।
ঘুম জড়ানো চোখে পলক দেবো মিলিয়ে।
চোখের ঢেউ শুন্য কথাতেই বেশ ।
হোক তুমি সেই শুন্য গানের সুরের হিয়ে।
‘তোর নতুন ঘরে অনেক আলো‘
মধ্য রাতের ওই ডুবে যাওয়া
চাঁদটাকে দেখ একবার,পাশে তার কেমন
মেঘের আড়াল!
উজ্জ্বল মুখের মাঝখানে
কেমন কলঙ্ক দাগ,সৌন্দর্যের বক্ষ মাঝারে
ওমন কলঙ্ক দাগ কে দিলো ওর বুকে?
আসলে
মিথ্যার সাথে লুকোচুরি খেলতে খেলতে
কখন যে ওটা নিজেই মিথাবাদী হয়ে গেছে
ডুবে যাওয়া মেঘের আড়ালে!
বিপরীতে,
মেঘের আড়ালে ওই ডুবে যাওয়া
চাঁদটার পাশে মানবী রূপে তুই দাঁড়া
একবার—
রূপের সাগরে তুই যেনো একটা
সদ্য ফোটা গোলাপ,ছয়টি পাপড়ি মেলে
ধরেছিস,বেজোড় সংখ্যায় তেরোটায় সাতটা
মেলে ধরতে এখনো বাকি!
আসলে রূপের সাগরে
তুই যেনো একটা একটা পাহাড়,একটা আগ্নেয়গিরি–আগুনের ফুলকি উড়ছে
তোর চূড়া থেকে আর বোকা পুরুষ পতঙ্গের
মতো পুড়ছে–
আসলে রূপের সাগরে
তুই যেনো ভোরের শিউলি–
তোর মিষ্টি হাসির পাশে
মেঘ গুলোকে দেখ একবার কেমন
বিষন্নতা নিয়ে ডুবে যাচ্ছে–
মেঘের আড়ালে কেমন
সহস্র কলঙ্ক নিয়ে আলোছায়ায়
লুকোচুরি খেলছে!
সেখানে
শীতের কুয়াশায় দুর্বাদলে নেই কোনো শিশির,
বসন্তে প্রেমের আগুনে নেই কোনো রঙে রঙে
রঙিন ফাগুন–
সেখানে
গ্রীষ্মের দুপুরে নেই কোনো শরীর
ভেজা ঘাম,বরষায় আকাশ ভাঙা বৃষ্টি।
সেখানে নেই কোনো
শরতের ওই শুভ্রনীল গগনে
নদীতটে কাশফুলে নুয়ে পড়া দোলা,
হেমন্তে হাল্কা শীতের আমেজ।
যা নিয়ে
একটা কবিতা লিখতে পারি,
প্রকৃতির কোলে মান অভিমানে প্রেমে
পড়তে পারি–
বিপরীতে
তোর রূপের সাগরে কতো আলোর ঝলক
কতো অচিন পাখি বাসা বুনোর জন্য মাইলের
পর মাইল দিগন্ত পেরিয়ে উড়ে আসছে।
সেখানে
নেই কোনো চন্দ্রমা কলঙ্ক
—যা আছে সবটাই মানবী
সৌন্দর্য–(অসসমাপ্ত)
——‘তোর নতুন ঘরে অনেক আলো‘—–
কলমে-নির্মল প্রিয়া বিশ্বাস(কালাগ্নি)
আমাদের প্রেম হয়েছে ঠিকই,
তবে ভালোবাসাটা ঠিকঠাক হয়ে ওঠেনি।
পায়ে পা মিলিয়ে পাশাপাশি হাঁটা হয়েছে বহু পথ।
আঙুলে আঙুল ছোঁয়াও হয়েছে,
তবু তুমি আমার হৃদয়টা ঠিক ছুঁতে পারনি!
রাত জেগে টেলিফোনে বহু আলাপ হয়েছে ঠিকই।
তবে ও-প্রান্তের তুমি-টা আমার
অনুভূতিগুলো একটুও বুঝে উঠতে পারনি!
তোমার দৈনিক নিয়মমাফিক রুটিনে
আমি জায়গা করে নিয়েছিলাম ঠিক।
আট দশটা প্রেমের নিয়মে আমরাও চলেছি।
তবু তোমার হৃদয় প্রাঙ্গণে ঠাঁই জোটেনি আমার!
তোমার হঠাৎ করেই হারিয়ে যাওয়া
আমায় বারবার জানান দিয়েছে;
আমি ভুল করে ভালোবেসে প্রেম করেছি ঠিকই,
তবে তুমি আমায় ঠিক ভালোবাসতে পারনি।
আমাদের ভালোবাসাটা আর ঠিকঠাক হয়ে ওঠেনি!
_ভালোবাসা হয়ে ওঠেনি
লেখাঃ- মারজিয়া মহিমা
ভালোবাসার কবিতা