পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা বাণী। বন্ধুরা এই পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে আপনার আপনাদের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং প্রিয়জনদের রমজানের শুভেচ্ছা জানাতে পারেন।
ইমাম আলি (আ.) বলেছেন: রমজান
আল্লাহর মাস, শাবান রাসুল (সা.)
এর মাস এবং রজব হচ্ছে আমার মাস
যদি কেউ রমজান মাসে
ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভাঙ্গে
তাহলে তার ঈমান হ্রাস পাবে।
ইমাম সাদিক (আ.) বলেছেন:
যদি কেউ রোজাদারকে ইফতারি
খাওয়ায় তাহলে তাকেও আল্লাহ রোজাদারের
সমপরিমাণ সওয়াব দান করবেন।
আরও পড়ুন:
মাহে রমজানের স্ট্যাটাস
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেছেন:
মানুষ যে সকল স
কর্ম করে তার দশগুণ
সওয়াব তাকে দান করা হয়।
অনুরূপভাবে যদি কেউ
প্রত্যেক মাসে তিনটি
রোজা রাখে তাহলেও সেই পরিমাণ
সওয়াব পাওয়া যায়।
রাসুল (সা.) বলেছেন: শীতকাল হচ্ছে
মুমিনদের জন্য বস্তকাল।
তারা দীর্ঘ রাতে ইবাদত করে এবং
ছোট দিনে রোজা রাখে।
ইমাম কাযিম (আ.) বলেছেন:
ইফতারির সময় রোজাদারদের
দোয়া কবুল করা হয়।
রাসুল (সা.) বলেছেন: বেহেস্তে একটি
দরজা রয়েছে সেখান থেকে শুধুমাত্র
রোজাদারগণ প্রবেশ করবে।
ইমাম সাদিক (আ.) বলেছেন:
যে ব্যাক্তি আল্লাহর জন্য
অত্যন্ত গরমের দিনে
রোজা রাখে এবং তৃষ্ণার্ত
হয়ে পড়ে আল্লাহ তার
জন্য হাজার ফেরেস্তাকে
নিযোগ করে তারা যেন
রোজাদার ব্যাক্তির মুখে
হাত বুলিয়ে দেয় এবং
ইফতারির সময় পর্যন্ত তাকে
সুসংবাদ দিতে থাকে।
রাসুল (সা.) বলেছেন: ধন্য হচ্ছে
ঐ সকল রোজাদার যারা আল্লাহর
জন্য ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত অবস্থায় থাকে।
তারা কেয়ামতে পরিতৃপ্ত হবে।
রাসুল (সা.) বলেছেন: আল্লাহ তায়ালা বলেছেন:
রোজা হচ্ছে আমার ইবাদত সুতরাং
আমি এর পুরস্কার দিব।
ইমাম সাদিক (আ.) বলেছেন:
এক দিরহাম সাদকা দেয়ার চেয়ে
একদিন মুস্তাহাব রোজা রাখার চেয়ে উত্তম।
ইমাম আলি (আ.) বলেছেন:
পেটের রোজার চেয়ে জিহবার রোজা উত্তম
এবং জিহবার রোজার চেয়ে অন্তরের রোজা উত্তম।
হজরত আলি (আ.) বলেছেন: প্রকৃতপক্ষে
রোজা হচ্ছে হারাম সমূহ থেকে নিজেকে
বিরত রাখা যেমনটি রোজাদার নিজেকে
পানাহার থেকে বিরত রাখে।
রাসুল (সা.) বলেছেন: গরমে রোজা
রাখা হচ্ছে জিহাদের সমতুল্য।
রাসুল (সা.) বলেছেন: রোজা হচ্ছে
(জাহান্নামের) আগুনের জন্য ঢাল স্বরূপ।
রাসুল (সা.) বলেছেন:
প্রত্যেকটি জিনিষের জাকাত রয়েছে
আর দেহের জাকাত হচ্ছে রোজা।
ইমাম রেযা (আ.) বলেছেন:
মানুষের উপরে রোজাকে এজন্য
ফরজ করা হয়েছে যেন তারা ক্ষুধা,
তৃষ্ণাকে অনুভব করার মাধ্যেমে কেয়ামতের
কষ্ট ও দুর্দশাকে উপলব্ধি করতে পারে।
হজরত আলি (আ.) বলেছেন:
আল্লাহ তার বান্দার পরিক্ষা নেয়ার জন্য
রোজাকে ওয়াজিব করেছেন।
(নাহজুল বালাগা, হিকমত নং ২৫২)
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেছেন:
আল্লাহ ধনি গরিবের
মাঝে অসমতা দূর করার
জন্য রোজাকে ওয়াজিব করেছেন।
ইমাম বাকের (আ.) বলেছেন:
ইসলামের ভিত্তি হচ্ছে পাঁচটি নামাজ,
জাকাত, হজ, রোজা এবং বেলায়াত।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো
খুশির ঈদ তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে,
শোন আসমানী তাগিদ।
তোর সোনা–দানা,
বালাখানা সব রাহে লিল্লাহ দে যাকাত,
মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিঁদ ও মন রমজানের
ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
– কাজী নজরুল ইসলাম
বন্ধুরা কোন ধরনের তথ্যগত ভুল থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন কিন্তু।